নিজস্ব প্রতিবেদক,সোনালী খবর

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা বিএনপিতে একটি চক্রের অনৈতিক কর্মকাণ্ড,দালালি,শালিস বাণিজ্য এবং দলের অভ্যন্তরীণ বিভাজনের বিরুদ্ধে তীব্র অভিযোগ তুলেছেন উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ।

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে বিএনপি নেতা খোশবুর রহমান খোকনের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ তোলা হয়। খোকন আলফাডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়,গত ৩ অক্টোবর বোয়ালমারীর কথিত যুবদল নেতা বনি আমিন আলফাডাঙ্গার যুবদল নেতা রমজান শেখ ও তাঁতীদল নেতা সালাউদ্দিনের কাছ থেকে বিদেশে পাঠানোর কথা বলে ৬ লাখ টাকা গ্রহণ করেন। দুই মাসের মধ্যে প্রবাসে পাঠানোর আশ্বাস দেওয়া হলেও প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হন বনি আমিন। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতি ঘটে।

ঘটনার সূত্র ধরে আলফাডাঙ্গা থানায় একটি পক্ষ বিশেষ প্রভাব খাটিয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করায়, যা বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলকে আরও জটিল করে তোলে। মামলাটি আলফাডাঙ্গা জিআর-১১১/২৫ নম্বরে নথিভুক্ত হয়। এতে উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আব্দুল মান্নান মিয়া আব্বাস ও সাবেক সদস্য সচিব নুরুজ্জামান খসরুর বিরুদ্ধে পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে মিলে অনৈতিক সুবিধা গ্রহণের অভিযোগ তোলা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন, আব্বাস ও খসরু দলীয় গঠনতন্ত্রকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে থানাকে অঘোষিত বাড়ি হিসেবে ব্যবহার করে আসছেন। তাদের বিরুদ্ধে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে দালালি, শালিস বাণিজ্য ও জনগণের কাছ থেকে টাকা আদায়ের একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া, সাবেক ইউএনও’র কাছে লিখিত মুচলেকা দিয়ে বিএনপির রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার অভিযোগও করা হয় আব্বাসের বিরুদ্ধে।

সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, সাবেক সদস্য সচিব নুরুজ্জামান খসরু আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রশাসনের ঘনিষ্ঠ হয়ে অনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসতেন। দলের নির্দেশনা উপেক্ষা করে শালিস ও চাঁদাবাজির মতো কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছেন তারা। উল্লেখযোগ্য যে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্পষ্টভাবে এসব কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন।

এছাড়া, আব্দুল মান্নান মিয়া আব্বাসের বিরুদ্ধে বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক থাকাকালে কোনো হিসাব না দিয়ে দায়িত্ব ত্যাগের অভিযোগও তুলে ধরা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতৃবৃন্দ জানান, আব্বাস ও খসরু মূলত ফ্যাসিবাদী সরকারের দোসরদের পুনর্বাসনের মাধ্যমে উপজেলা বিএনপিকে বিভক্ত করতে চান। তারা দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে এবং সাধারণ নেতাকর্মীদের আস্থা হারাচ্ছেন।

সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তারা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং দেশবাসীর কাছে এ দুই নেতার বিচার দাবি করেন।