১২:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

অপসাংবাদিকতার কবলে খোদ সাংবাদিক আলী নাইম, নিরাপত্তাহীনতায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দাখিল

  • আপডেট: ০৪:৫২:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ১৮০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক:
সাংবাদিকতার মুল মন্ত্র হলো সত্য প্রকাশ করা, কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, বর্তমানে কিছু কুচক্রী মহল সাংবাদিকদের নাম ব্যবহার করে মিথ্যা তথ্য প্রচার করে তাদের সামাজিক ও পেশাগতভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি সাংবাদিক এম.এন আলী নাইম (নায়েব আলী) এবং আরও দুই সাংবাদিক বেলায়েত হোসেন ও রাহিমা আক্তার মুক্তার নামে একটি মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। এই সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে শুধু তাদের ব্যক্তিগত জীবন নয়, বরং গোটা সাংবাদিক সমাজকেই প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা চালানো হয়েছে।
সাংবাদিক এম.এন আলী নাইম দৈনিক সোনালী খবর পত্রিকার একজন দায়িত্বশীল সংবাদকর্মী জানান যে গত ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে দৈনিক দিনকাল অনলাইন পোর্টালে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। যেখানে তার সঙ্গে বেলায়েত হোসেন (দৈনিক মুক্ত খবর) ও রাহিমা আক্তার মুক্তা (দৈনিক আমার প্রাণের বাংলাদেশ) এর নাম ও ছবি ব্যবহার করা হয়। সংবাদটি যাচাই-বাছাই ছাড়াই এবং তাদের প্রতিষ্ঠানের সম্পাদকমণ্ডলীর মতামত ছাড়াই প্রকাশিত হয়। যা সংবাদপত্রের নৈতিকতার ঘোরতর লঙ্ঘন। আরও উদ্বেগজনক বিষয় হলো একই সংবাদ বাংলা স্কোপ, টেনসবিডি.কম সহ একাধিক অনিবন্ধিত অনলাইন পত্রিকায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়।
এই অপপ্রচারের পেছনে কারা রয়েছে তা পরিষ্কার হলেও সাংবাদিক এম.এন আলী নাইমের দাবি, বিআরটিএ-তে সক্রিয় কিছু দালাল ও অসাধু মহল এর সঙ্গে জড়িত। তিনি নিয়মিত এসব মহলের দুর্নীতি, অবৈধ কর্মকাণ্ড ও কুকর্ম তুলে ধরার কারণে তাদের স্বার্থে আঘাত লেগেছে। আর এ কারণেই তারা তাকে এবং আরও দুই সাংবাদিককে টার্গেট করে মানহানিকর সংবাদ প্রকাশ করেছে। এম.এন আলী নাইম বলেন, “আমি কোনো রাজনৈতিক দলের রাজনীতির সঙ্গে কখনো জড়িত ছিলাম না, কিন্তু মিথ্যা প্রতিবেদনে আমাকে আওয়ামী লীগের দোষর বানানোর চেষ্টা করা হয়েছে, যা আমার জীবনের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সংবাদ প্রকাশের পর থেকে তিনি নিজেকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানিয়েছেন। শুধু তিনি নন, তার পরিবারের সদস্যরাও আতঙ্কে রয়েছেন। একইসঙ্গে সাংবাদিক বেলায়েত হোসেন ও রাহিমা আক্তার মুক্তাকেও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে তুলেছে এই অপপ্রচার। তারা তিনজনই আশঙ্কা করছেন যে এই কুচক্রী মহল শুধুমাত্র সংবাদেই থেমে থাকবে না, বরং শারীরিক ক্ষতির চেষ্টাও চালাতে পারে।
এই অবস্থায় এম.এন আলী নাইম সরাসরি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (জন নিরাপত্তা বিভাগ)-এ গত ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ইং তারিখে অভিযোগ দাখিল করেছেন। তিনি তাঁর অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছেন, যদি তার বা অন্য দুই সাংবাদিকের জীবনে কোনো দুর্ঘটনা ঘটে, তবে এর দায়ভার বর্তাবে সেই কুচক্রী মহলের ওপর যারা এই মিথ্যা সংবাদ ছড়িয়েছে। বিশেষ করে তিনি স্পষ্টভাবে বিআরটিএ-র কিছু অসাধু কর্মকর্তা এবং তাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত দালাল সাংবাদিকদের নাম উল্লেখ করেছেন, যারা সবসময় অবৈধ সম্পদ রক্ষা এবং ক্ষমতার অপব্যবহারকে ঢেকে রাখতে এ ধরনের অপতৎপরতায় লিপ্ত থাকে।
অভিযোগপত্রে তিনি আকুল আবেদন জানিয়েছেন যেন মন্ত্রণালয় দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয় এবং তাকে ও অপর দুই সাংবাদিককে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা প্রদান করে। এছাড়া তিনি অনুরোধ করেছেন, মানহানিকর সংবাদ প্রচারে যেসব ব্যক্তি বা মহল জড়িত তাদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।
এই ঘটনায় সাংবাদিক সমাজও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা মনে করছেন একজন সাংবাদিকের ছবি ও নাম ব্যবহার করে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করা শুধু ব্যক্তি পর্যায়ের ক্ষতি নয় বরং এটি পুরো সাংবাদিকতার স্বাধীনতার ওপর আঘাত। গণমাধ্যমকে অবিশ্বস্ত করে তোলার এই ধরনের কৌশল অব্যাহত থাকলে গণতান্ত্রিক সমাজে স্বাধীন সাংবাদিকতা কঠিন হয়ে পড়বে।
বর্তমানে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ভুয়া সংবাদ প্রচার নতুন কোনো বিষয় নয়। কিন্তু কোনো সাংবাদিককে টার্গেট করে যখন ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হয়, তখন সেটি একটি গুরুতর ষড়যন্ত্রে পরিণত হয়। এম.এন আলী নাইমের ক্ষেত্রে এমনটাই ঘটেছে। তার দাবি, এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় বরং সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। এই ঘটনার মাধ্যমে তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে সত্য প্রকাশ থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।
একইসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, যেসব অনলাইন প্ল্যাটফর্ম এখনো সরকারি নিবন্ধনের বাইরে থেকে এ ধরনের সংবাদ প্রচার করছে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া উচিত। কারণ অনিবন্ধিত প্ল্যাটফর্মগুলো প্রায়ই যাচাই-বাছাই ছাড়া সংবাদ ছাপায় এবং ব্যক্তির সম্মানহানি করে থাকে।
প্রসঙ্গত, এম.এন আলী নাইম পূর্বে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে প্রতিবেদন করেছেন। বিশেষ করে তিনি বিআরটিএ-তে দালালচক্র ও ক্ষমতার অপব্যবহার নিয়ে প্রতিবেদন করার পর থেকেই তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার বেড়েছে। ফলে এই ঘটনাকে সাংবাদিক মহল সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছে।
এখন বিষয়টি সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে যদি দ্রুত তদন্ত শুরু হয়, তবে সত্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে। অন্যথায় এর ফলাফল ভয়াবহ হতে পারে।
সবশেষে বলা যায়, একজন দায়িত্বশীল সাংবাদিকের বিরুদ্ধে এ ধরনের মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ কেবল একটি পেশাগত আঘাত নয়, বরং এটি পুরো সমাজের তথ্যের নিরাপত্তাকে ঝুঁকিতে ফেলে। তাই সাংবাদিক এম.এন আলী নাইম এবং তার সহকর্মী দুইজনের দাবি, তারা যেন ন্যায়বিচার পান এবং কুচক্রী মহলকে আইনের আওতায় আনা হয়। তাদের বিরুদ্ধে যারা অপপ্রচার চালাচ্ছে তাদের নামও যথাসময়ে প্রকাশ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে কত দ্রুত এবং কতটা কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে? তা সময়ই বলে দেবে। কিন্তু একটি বিষয় নিশ্চিত, সত্য প্রকাশের দায়িত্বে নিয়োজিত সাংবাদিকদের যদি এভাবে মিথ্যা সংবাদে জড়িয়ে ফেলা হয়, তবে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বড় ধরনের হুমকির মুখে পড়বে। পরবর্তীতে বিআরটিএ’র কুচক্রি মহল ও ষড়যন্ত্রকারীদের নাম তালিকা আকারে প্রকাশ করা হবে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

অপসাংবাদিকতার কবলে খোদ সাংবাদিক আলী নাইম, নিরাপত্তাহীনতায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দাখিল

আপডেট: ০৪:৫২:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক:
সাংবাদিকতার মুল মন্ত্র হলো সত্য প্রকাশ করা, কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, বর্তমানে কিছু কুচক্রী মহল সাংবাদিকদের নাম ব্যবহার করে মিথ্যা তথ্য প্রচার করে তাদের সামাজিক ও পেশাগতভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি সাংবাদিক এম.এন আলী নাইম (নায়েব আলী) এবং আরও দুই সাংবাদিক বেলায়েত হোসেন ও রাহিমা আক্তার মুক্তার নামে একটি মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। এই সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে শুধু তাদের ব্যক্তিগত জীবন নয়, বরং গোটা সাংবাদিক সমাজকেই প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা চালানো হয়েছে।
সাংবাদিক এম.এন আলী নাইম দৈনিক সোনালী খবর পত্রিকার একজন দায়িত্বশীল সংবাদকর্মী জানান যে গত ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে দৈনিক দিনকাল অনলাইন পোর্টালে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। যেখানে তার সঙ্গে বেলায়েত হোসেন (দৈনিক মুক্ত খবর) ও রাহিমা আক্তার মুক্তা (দৈনিক আমার প্রাণের বাংলাদেশ) এর নাম ও ছবি ব্যবহার করা হয়। সংবাদটি যাচাই-বাছাই ছাড়াই এবং তাদের প্রতিষ্ঠানের সম্পাদকমণ্ডলীর মতামত ছাড়াই প্রকাশিত হয়। যা সংবাদপত্রের নৈতিকতার ঘোরতর লঙ্ঘন। আরও উদ্বেগজনক বিষয় হলো একই সংবাদ বাংলা স্কোপ, টেনসবিডি.কম সহ একাধিক অনিবন্ধিত অনলাইন পত্রিকায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়।
এই অপপ্রচারের পেছনে কারা রয়েছে তা পরিষ্কার হলেও সাংবাদিক এম.এন আলী নাইমের দাবি, বিআরটিএ-তে সক্রিয় কিছু দালাল ও অসাধু মহল এর সঙ্গে জড়িত। তিনি নিয়মিত এসব মহলের দুর্নীতি, অবৈধ কর্মকাণ্ড ও কুকর্ম তুলে ধরার কারণে তাদের স্বার্থে আঘাত লেগেছে। আর এ কারণেই তারা তাকে এবং আরও দুই সাংবাদিককে টার্গেট করে মানহানিকর সংবাদ প্রকাশ করেছে। এম.এন আলী নাইম বলেন, “আমি কোনো রাজনৈতিক দলের রাজনীতির সঙ্গে কখনো জড়িত ছিলাম না, কিন্তু মিথ্যা প্রতিবেদনে আমাকে আওয়ামী লীগের দোষর বানানোর চেষ্টা করা হয়েছে, যা আমার জীবনের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সংবাদ প্রকাশের পর থেকে তিনি নিজেকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানিয়েছেন। শুধু তিনি নন, তার পরিবারের সদস্যরাও আতঙ্কে রয়েছেন। একইসঙ্গে সাংবাদিক বেলায়েত হোসেন ও রাহিমা আক্তার মুক্তাকেও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে তুলেছে এই অপপ্রচার। তারা তিনজনই আশঙ্কা করছেন যে এই কুচক্রী মহল শুধুমাত্র সংবাদেই থেমে থাকবে না, বরং শারীরিক ক্ষতির চেষ্টাও চালাতে পারে।
এই অবস্থায় এম.এন আলী নাইম সরাসরি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (জন নিরাপত্তা বিভাগ)-এ গত ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ইং তারিখে অভিযোগ দাখিল করেছেন। তিনি তাঁর অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছেন, যদি তার বা অন্য দুই সাংবাদিকের জীবনে কোনো দুর্ঘটনা ঘটে, তবে এর দায়ভার বর্তাবে সেই কুচক্রী মহলের ওপর যারা এই মিথ্যা সংবাদ ছড়িয়েছে। বিশেষ করে তিনি স্পষ্টভাবে বিআরটিএ-র কিছু অসাধু কর্মকর্তা এবং তাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত দালাল সাংবাদিকদের নাম উল্লেখ করেছেন, যারা সবসময় অবৈধ সম্পদ রক্ষা এবং ক্ষমতার অপব্যবহারকে ঢেকে রাখতে এ ধরনের অপতৎপরতায় লিপ্ত থাকে।
অভিযোগপত্রে তিনি আকুল আবেদন জানিয়েছেন যেন মন্ত্রণালয় দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয় এবং তাকে ও অপর দুই সাংবাদিককে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা প্রদান করে। এছাড়া তিনি অনুরোধ করেছেন, মানহানিকর সংবাদ প্রচারে যেসব ব্যক্তি বা মহল জড়িত তাদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।
এই ঘটনায় সাংবাদিক সমাজও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা মনে করছেন একজন সাংবাদিকের ছবি ও নাম ব্যবহার করে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করা শুধু ব্যক্তি পর্যায়ের ক্ষতি নয় বরং এটি পুরো সাংবাদিকতার স্বাধীনতার ওপর আঘাত। গণমাধ্যমকে অবিশ্বস্ত করে তোলার এই ধরনের কৌশল অব্যাহত থাকলে গণতান্ত্রিক সমাজে স্বাধীন সাংবাদিকতা কঠিন হয়ে পড়বে।
বর্তমানে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ভুয়া সংবাদ প্রচার নতুন কোনো বিষয় নয়। কিন্তু কোনো সাংবাদিককে টার্গেট করে যখন ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হয়, তখন সেটি একটি গুরুতর ষড়যন্ত্রে পরিণত হয়। এম.এন আলী নাইমের ক্ষেত্রে এমনটাই ঘটেছে। তার দাবি, এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় বরং সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। এই ঘটনার মাধ্যমে তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে সত্য প্রকাশ থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।
একইসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, যেসব অনলাইন প্ল্যাটফর্ম এখনো সরকারি নিবন্ধনের বাইরে থেকে এ ধরনের সংবাদ প্রচার করছে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া উচিত। কারণ অনিবন্ধিত প্ল্যাটফর্মগুলো প্রায়ই যাচাই-বাছাই ছাড়া সংবাদ ছাপায় এবং ব্যক্তির সম্মানহানি করে থাকে।
প্রসঙ্গত, এম.এন আলী নাইম পূর্বে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে প্রতিবেদন করেছেন। বিশেষ করে তিনি বিআরটিএ-তে দালালচক্র ও ক্ষমতার অপব্যবহার নিয়ে প্রতিবেদন করার পর থেকেই তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার বেড়েছে। ফলে এই ঘটনাকে সাংবাদিক মহল সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছে।
এখন বিষয়টি সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে যদি দ্রুত তদন্ত শুরু হয়, তবে সত্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে। অন্যথায় এর ফলাফল ভয়াবহ হতে পারে।
সবশেষে বলা যায়, একজন দায়িত্বশীল সাংবাদিকের বিরুদ্ধে এ ধরনের মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ কেবল একটি পেশাগত আঘাত নয়, বরং এটি পুরো সমাজের তথ্যের নিরাপত্তাকে ঝুঁকিতে ফেলে। তাই সাংবাদিক এম.এন আলী নাইম এবং তার সহকর্মী দুইজনের দাবি, তারা যেন ন্যায়বিচার পান এবং কুচক্রী মহলকে আইনের আওতায় আনা হয়। তাদের বিরুদ্ধে যারা অপপ্রচার চালাচ্ছে তাদের নামও যথাসময়ে প্রকাশ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে কত দ্রুত এবং কতটা কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে? তা সময়ই বলে দেবে। কিন্তু একটি বিষয় নিশ্চিত, সত্য প্রকাশের দায়িত্বে নিয়োজিত সাংবাদিকদের যদি এভাবে মিথ্যা সংবাদে জড়িয়ে ফেলা হয়, তবে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বড় ধরনের হুমকির মুখে পড়বে। পরবর্তীতে বিআরটিএ’র কুচক্রি মহল ও ষড়যন্ত্রকারীদের নাম তালিকা আকারে প্রকাশ করা হবে।