০৫:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

চলন্ত লঞ্চে যাত্রীর রক্তক্ষরণ—৯৯৯ কলে উদ্ধার, হাসপাতালে ভর্তি

  • আপডেট: ০৫:০৫:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ অক্টোবর ২০২৫
  • / ১৮০১২

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা

চলন্ত লঞ্চে এক অসুস্থ যাত্রীর রক্তক্ষরণ শুরু হলে ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’-এ ফোন কলের মাধ্যমে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দ্রুত সাড়া দিয়ে পুলিশ ও চিকিৎসা কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ওই নারীকে নিরাপদে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সোমবার (৬ অক্টোবর) জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর গণমাধ্যম ও জনসংযোগ কর্মকর্তা আনোয়ার সাত্তার

জানান, ঢাকা সদরঘাট থেকে বরগুনাগামী পূবালী-১ লঞ্চের যাত্রী ছিলেন ফাতেমা বেগম (৩৮)। কিছুদিন আগে তার টনসিলের অপারেশন হয়। রবিবার রাত দুইটার দিকে বরিশালের কাছাকাছি পৌঁছালে হঠাৎ তার অপারেশনের স্থানে প্রচুর রক্তক্ষরণ শুরু হয়।

তখন এক সহযাত্রী জরুরি সহায়তা চেয়ে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন। ফোনকলটি গ্রহণ করেন ৯৯৯ কলটেকার কনস্টেবল সানাউল্লাহ। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি বরিশাল পুলিশ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ এবং হিজলা থানায় অবহিত করেন। উদ্ধার তৎপরতা তদারক ও সমন্বয়ের দায়িত্বে ছিলেন ৯৯৯ ডিসপাচার এসআই আব্দুল বারী।

৯৯৯ থেকে তথ্য পাওয়ার পর হিজলা থানার একটি উদ্ধারকারী দল দ্রুত হিজলা লঞ্চঘাটে পৌঁছে যায়। সেখানে লঞ্চ থামিয়ে রোগী ফাতেমা বেগমকে নামানো হয় এবং হিজলা থানার পুলিশ সদস্যরা তাকে দ্রুত হিজলা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যান।

প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চিকিৎসকরা ফাতেমা বেগমকে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেন। এরপর হিজলা থানার পুলিশের অনুরোধে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অ্যাম্বুলেন্সে তাকে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত যোগাযোগ করা হলে জানা যায়, ফাতেমা বেগম বর্তমানে চিকিৎসাধীন এবং শঙ্কামুক্ত। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উদ্ধারকারী দলের নেতৃত্বে থাকা এসআই রফিকুল ইসলাম।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

চলন্ত লঞ্চে যাত্রীর রক্তক্ষরণ—৯৯৯ কলে উদ্ধার, হাসপাতালে ভর্তি

আপডেট: ০৫:০৫:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ অক্টোবর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা

চলন্ত লঞ্চে এক অসুস্থ যাত্রীর রক্তক্ষরণ শুরু হলে ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’-এ ফোন কলের মাধ্যমে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দ্রুত সাড়া দিয়ে পুলিশ ও চিকিৎসা কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ওই নারীকে নিরাপদে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সোমবার (৬ অক্টোবর) জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর গণমাধ্যম ও জনসংযোগ কর্মকর্তা আনোয়ার সাত্তার

জানান, ঢাকা সদরঘাট থেকে বরগুনাগামী পূবালী-১ লঞ্চের যাত্রী ছিলেন ফাতেমা বেগম (৩৮)। কিছুদিন আগে তার টনসিলের অপারেশন হয়। রবিবার রাত দুইটার দিকে বরিশালের কাছাকাছি পৌঁছালে হঠাৎ তার অপারেশনের স্থানে প্রচুর রক্তক্ষরণ শুরু হয়।

তখন এক সহযাত্রী জরুরি সহায়তা চেয়ে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন। ফোনকলটি গ্রহণ করেন ৯৯৯ কলটেকার কনস্টেবল সানাউল্লাহ। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি বরিশাল পুলিশ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ এবং হিজলা থানায় অবহিত করেন। উদ্ধার তৎপরতা তদারক ও সমন্বয়ের দায়িত্বে ছিলেন ৯৯৯ ডিসপাচার এসআই আব্দুল বারী।

৯৯৯ থেকে তথ্য পাওয়ার পর হিজলা থানার একটি উদ্ধারকারী দল দ্রুত হিজলা লঞ্চঘাটে পৌঁছে যায়। সেখানে লঞ্চ থামিয়ে রোগী ফাতেমা বেগমকে নামানো হয় এবং হিজলা থানার পুলিশ সদস্যরা তাকে দ্রুত হিজলা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যান।

প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চিকিৎসকরা ফাতেমা বেগমকে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেন। এরপর হিজলা থানার পুলিশের অনুরোধে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অ্যাম্বুলেন্সে তাকে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত যোগাযোগ করা হলে জানা যায়, ফাতেমা বেগম বর্তমানে চিকিৎসাধীন এবং শঙ্কামুক্ত। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উদ্ধারকারী দলের নেতৃত্বে থাকা এসআই রফিকুল ইসলাম।