০৯:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

দেশবিরোধী ও সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রে জড়িত বৈষম্যবিরোধী হত্যা মামলার আসামি বিলাস বাহিনীর বেপরোয়া তৎপরতা সাংবাদিক পরিবারের জমি দখলে প্রভাবশালীদের অপতৎপরতা

  • আপডেট: ১২:৩১:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ অক্টোবর ২০২৫
  • / ১৮০২৯

আমিনুল ইসলাম:

রাজধানী ঢাকার পার্শ্ববর্তী সাভারের কমলাপুর এলাকায় জনৈক গণমাধ্যমকর্মী মো. শফিউল আজমের বৈধ মালিকানাধীন জমি দখলের চেষ্টায় প্রভাবশালী চক্রের অপতৎপরতার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্থানীয়ভাবে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

অভিযোগের কেন্দ্রে রয়েছেন এনজিও বিএএসডি-র সঙ্গে জড়িত সুব্রত বনিফাজ গোমেজ এবং তার চাচা-শ্বশুর, সাভারের ভয়ংকর সন্ত্রাসী ও বৈষম্যবিরোধী হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি, সাবেক যুবলীগ সভাপতি বিলাস গোমেজ। তিনি কেরু মাস্টারের পুত্র এবং বর্তমানে পলাতক অবস্থায় আছেন। অভিযোগ রয়েছে, তিনি অজ্ঞাত স্থান থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেশবিরোধী ও সরকার উৎখাতমূলক প্রচারণা চালাচ্ছেন।

স্থানীয়রা জানান, সুব্রত ও বিলাস গোমেজের নেতৃত্বে একটি চিহ্নিত ভূমিদস্যু চক্র গড়ে উঠেছে, যারা সুকৌশলে নিরীহ মানুষের জমি দখল করছে।

ভুক্তভোগী গণমাধ্যমকর্মী মো. শফিউল আজম বলেন,
সুব্রত বনিফাজ গোমেজ কমলাপুর মৌজায় আদম রোজারিও নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে জমি ক্রয় করেন। একইভাবে আদম রোজারিওর চাচাতো ভাই স্বপন রোজারিও গংও তার কাছ থেকে একাধিক দলিলে প্রায় ৪৩ শতক জমি ক্রয় করেন। সুব্রতের দলিলের দক্ষিণ সীমায় স্বপনের জমি এবং স্বপনের দলিলের উত্তরে সুব্রতের জমি — উভয় দলিলেই স্পষ্টভাবে চৌহদ্দি উল্লেখ আছে।

স্বপন রোজারিও গং তাদের নামে সাভার থানার কমলাপুর মৌজার আরএস ৭০৯ দাগে ১৯ শতক জমি বিক্রিবাদের মাধ্যমে বিএস রেকর্ড করেন, আর সুব্রত রেকর্ড করেন ১৫.৫০ শতক।

২০২৫ সালের ২৬ মার্চ স্থানীয় মেম্বার, গণ্যমান্য ব্যক্তি ও সরকারি সার্ভেয়ারদের উপস্থিতিতে শফিউল আজম ও মরহুম ডা. মো. আলতাফ হোসেনের ক্রয়কৃত ৮ শতক জমি চিহ্নিত করে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন সুব্রতের দলিলদাতা আদম রোজারিও, যিনি নিজ হাতে স্বাক্ষর করেন।

পরদিন ২৮ মার্চ বৈধ মালিক হিসেবে শফিউল আজম জমিতে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ শুরু করেন। কিন্তু অল্প কিছুদিনের মধ্যেই সুব্রত গোমেজ স্থানীয় সন্ত্রাসীদের সহায়তায় এবং তার আত্মীয় বিলাস গোমেজের নির্দেশে সেখানে অবৈধভাবে সাইনবোর্ড স্থাপন করেন।

বিলাস গোমেজ— যিনি বৈষম্যবিরোধী হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি ও সাবেক উপজেলা যুবলীগ সভাপতি— তার রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে সাংবাদিক পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও হয়রানিমূলক মামলার আশ্রয় নেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এমনকি মৃত ব্যক্তির নামেও মামলা করেন, যা প্রতিহিংসামূলক মানসিকতার প্রমাণ বহন করে।

এই ঘটনায় শফিউল আজম সাভার থানায় অভিযোগ করলে, থানার পরামর্শে আদালতে সি.আর. মামলা নং ৬২৫/২০২৫ দায়ের করেন। এরপরও সুব্রত ও বিলাস গোমেজের অনুসারীরা পুনরায় একই জায়গায় “বায়না সূত্রে মালিক” মর্মে সাইনবোর্ড স্থাপন করে, যা মামলার প্রক্রিয়াকে অমান্য করার শামিল বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিলাস গোমেজ পলাতক থেকে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশবিরোধী ও সরকার উৎখাতের আহ্বানমূলক প্রচারণা চালাচ্ছেন। বিলাস ছিলেন সাবেক আইজিপি বেঞ্জির আহমেদের ক্যাশিয়ার ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালের অতি ঘনিষ্ঠজন তাদের বিদেশে অবৈধ টাকা পাচারের সার্বিক সহযোগিতায় নিয়োজিত ছিল বিলাস গোমেজ। অভিযোগ রয়েছে, তার আত্মীয় সুব্রত গোমেজ ওই প্রচারণায় সহায়তা ও সমন্বয়ের ভূমিকা পালন করছেন। মতামতের জন্য সুব্রত এর মোবাইল ফোনে কল করলে তিনি রিসিভ করেননি এবং বিলাস গমেজ তার মুঠোফোন বন্ধ রেখেছেন

মো. শফিউল আজম বলেন,

> “আমি আইন ও প্রশাসনের প্রতি সম্পূর্ণ আস্থা রেখে আদালতের আশ্রয় নিয়েছি। কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে সুব্রত ও বিলাস গোমেজ আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রচার ও অপপ্রচার চালাচ্ছে। তারা বিদেশে নাগরিকত্ব লাভের সুবিধার্থে আমার পরিবারের ক্ষতি করছে, যা অত্যন্ত নিন্দনীয়।”

 

স্থানীয় সচেতন মহল প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, সাংবাদিক পরিবারের প্রতি এই হয়রানিমূলক ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সত্য উদঘাটন করা জরুরি। তারা বিশ্বাস করেন, প্রশাসন বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করলে বিলাস ও সুব্রত চক্রের অপতৎপরতা এবং বিদেশি স্বার্থে পরিচালিত ষড়যন্ত্রের নেপথ্য চিত্র উন্মোচিত হবে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

দেশবিরোধী ও সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রে জড়িত বৈষম্যবিরোধী হত্যা মামলার আসামি বিলাস বাহিনীর বেপরোয়া তৎপরতা সাংবাদিক পরিবারের জমি দখলে প্রভাবশালীদের অপতৎপরতা

আপডেট: ১২:৩১:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ অক্টোবর ২০২৫

আমিনুল ইসলাম:

রাজধানী ঢাকার পার্শ্ববর্তী সাভারের কমলাপুর এলাকায় জনৈক গণমাধ্যমকর্মী মো. শফিউল আজমের বৈধ মালিকানাধীন জমি দখলের চেষ্টায় প্রভাবশালী চক্রের অপতৎপরতার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্থানীয়ভাবে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

অভিযোগের কেন্দ্রে রয়েছেন এনজিও বিএএসডি-র সঙ্গে জড়িত সুব্রত বনিফাজ গোমেজ এবং তার চাচা-শ্বশুর, সাভারের ভয়ংকর সন্ত্রাসী ও বৈষম্যবিরোধী হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি, সাবেক যুবলীগ সভাপতি বিলাস গোমেজ। তিনি কেরু মাস্টারের পুত্র এবং বর্তমানে পলাতক অবস্থায় আছেন। অভিযোগ রয়েছে, তিনি অজ্ঞাত স্থান থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেশবিরোধী ও সরকার উৎখাতমূলক প্রচারণা চালাচ্ছেন।

স্থানীয়রা জানান, সুব্রত ও বিলাস গোমেজের নেতৃত্বে একটি চিহ্নিত ভূমিদস্যু চক্র গড়ে উঠেছে, যারা সুকৌশলে নিরীহ মানুষের জমি দখল করছে।

ভুক্তভোগী গণমাধ্যমকর্মী মো. শফিউল আজম বলেন,
সুব্রত বনিফাজ গোমেজ কমলাপুর মৌজায় আদম রোজারিও নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে জমি ক্রয় করেন। একইভাবে আদম রোজারিওর চাচাতো ভাই স্বপন রোজারিও গংও তার কাছ থেকে একাধিক দলিলে প্রায় ৪৩ শতক জমি ক্রয় করেন। সুব্রতের দলিলের দক্ষিণ সীমায় স্বপনের জমি এবং স্বপনের দলিলের উত্তরে সুব্রতের জমি — উভয় দলিলেই স্পষ্টভাবে চৌহদ্দি উল্লেখ আছে।

স্বপন রোজারিও গং তাদের নামে সাভার থানার কমলাপুর মৌজার আরএস ৭০৯ দাগে ১৯ শতক জমি বিক্রিবাদের মাধ্যমে বিএস রেকর্ড করেন, আর সুব্রত রেকর্ড করেন ১৫.৫০ শতক।

২০২৫ সালের ২৬ মার্চ স্থানীয় মেম্বার, গণ্যমান্য ব্যক্তি ও সরকারি সার্ভেয়ারদের উপস্থিতিতে শফিউল আজম ও মরহুম ডা. মো. আলতাফ হোসেনের ক্রয়কৃত ৮ শতক জমি চিহ্নিত করে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন সুব্রতের দলিলদাতা আদম রোজারিও, যিনি নিজ হাতে স্বাক্ষর করেন।

পরদিন ২৮ মার্চ বৈধ মালিক হিসেবে শফিউল আজম জমিতে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ শুরু করেন। কিন্তু অল্প কিছুদিনের মধ্যেই সুব্রত গোমেজ স্থানীয় সন্ত্রাসীদের সহায়তায় এবং তার আত্মীয় বিলাস গোমেজের নির্দেশে সেখানে অবৈধভাবে সাইনবোর্ড স্থাপন করেন।

বিলাস গোমেজ— যিনি বৈষম্যবিরোধী হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি ও সাবেক উপজেলা যুবলীগ সভাপতি— তার রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে সাংবাদিক পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও হয়রানিমূলক মামলার আশ্রয় নেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এমনকি মৃত ব্যক্তির নামেও মামলা করেন, যা প্রতিহিংসামূলক মানসিকতার প্রমাণ বহন করে।

এই ঘটনায় শফিউল আজম সাভার থানায় অভিযোগ করলে, থানার পরামর্শে আদালতে সি.আর. মামলা নং ৬২৫/২০২৫ দায়ের করেন। এরপরও সুব্রত ও বিলাস গোমেজের অনুসারীরা পুনরায় একই জায়গায় “বায়না সূত্রে মালিক” মর্মে সাইনবোর্ড স্থাপন করে, যা মামলার প্রক্রিয়াকে অমান্য করার শামিল বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিলাস গোমেজ পলাতক থেকে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশবিরোধী ও সরকার উৎখাতের আহ্বানমূলক প্রচারণা চালাচ্ছেন। বিলাস ছিলেন সাবেক আইজিপি বেঞ্জির আহমেদের ক্যাশিয়ার ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালের অতি ঘনিষ্ঠজন তাদের বিদেশে অবৈধ টাকা পাচারের সার্বিক সহযোগিতায় নিয়োজিত ছিল বিলাস গোমেজ। অভিযোগ রয়েছে, তার আত্মীয় সুব্রত গোমেজ ওই প্রচারণায় সহায়তা ও সমন্বয়ের ভূমিকা পালন করছেন। মতামতের জন্য সুব্রত এর মোবাইল ফোনে কল করলে তিনি রিসিভ করেননি এবং বিলাস গমেজ তার মুঠোফোন বন্ধ রেখেছেন

মো. শফিউল আজম বলেন,

> “আমি আইন ও প্রশাসনের প্রতি সম্পূর্ণ আস্থা রেখে আদালতের আশ্রয় নিয়েছি। কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে সুব্রত ও বিলাস গোমেজ আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রচার ও অপপ্রচার চালাচ্ছে। তারা বিদেশে নাগরিকত্ব লাভের সুবিধার্থে আমার পরিবারের ক্ষতি করছে, যা অত্যন্ত নিন্দনীয়।”

 

স্থানীয় সচেতন মহল প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, সাংবাদিক পরিবারের প্রতি এই হয়রানিমূলক ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সত্য উদঘাটন করা জরুরি। তারা বিশ্বাস করেন, প্রশাসন বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করলে বিলাস ও সুব্রত চক্রের অপতৎপরতা এবং বিদেশি স্বার্থে পরিচালিত ষড়যন্ত্রের নেপথ্য চিত্র উন্মোচিত হবে।